‘শান্তু মামার গপ্প’=পর্ব-১


                                                                            শান্তু মামার গপ্প

                                                                                               (জাকির আবদার)

 

শৈশবে গল্প শোনার বাতিক আমাদের সবারই কম বেশি ছিল এটা যেমন সত্যি,বৃদ্ধ বয়সে গল্প শোনানোর বাতিকটাও মানুষের কম নয়। আর যারা রশিক প্রকৃতির লোক
তারা কোন বয়সের ধার ধারেনা।সুযোগ পেলেইমানুষকে গল্প শুনিয়ে আনন্দ পান এই সব লোকগুলো।তেমনি এক লোক আমাদের শান্তু মামা।

পেশায় শিক্ষগতা,নেশায় রশিকতা। নেশায় রশিকতা বলার উদ্দেশ্য হল;মামা একজন ধার্মিক লোক ।তাই তার অন্য লোকের মত পান,বিড়ি-সিগারেট,জুয়া কিম্বা অন্য কোন বদ অভ্যাস বা নেশা নেই।এক কথায়;তিনি যে কোন লোকের জন্য আদর্শ।শান্তু মামার সম্পর্কে আর বেশি কিছু বলব না।তার মুখ থেকে শোনা গল্প বললেই আপনারা বুঝতে পারবেন,তিনি কোন মানের মানুষ।

শান্তু মামা বারবাজার হাটে যাচ্ছেন।যাওয়ার পথে তিনি দেখতে পেলেন,জালাল মৃধা তার গরুটাকে গোসল করাচ্ছেন।মৃধার মুখ দেখে অনুমান করা গেল যে,তিনি খুব বিরক্ত।শান্তু মামা বাইসাইকেলটা জামরুল গাছের সাথে হেলান দিয়ে রেখে এগিয়ে গেলেন জালাল মৃধার কাছে।বাকি ঘটনা সংলাপ এর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হলঃ

জালাল মৃধাঃ-  আসসালামুয়ালাইকুম(রাগের স্বরে)

শান্তু মামাঃ- অয়ালাইকুমুসসালাম।কেমন আছো বৃধা ?(ঠাট্রার স্বরে)

জালাল মৃধাঃ-  ভাল-মন্দ কোন উত্তর না দিয়ে গরুর গায়ে পানি ঢালতে লাগলেন।আর বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন;তিন বছর ধরে এই যে খাওয়ায়,গোসল করাই শালা গাভিন হওয়ার নাম নেই।

  শান্তু মামাঃ- তা শুনলাম তোমার গরুর নাকি অসুখ আছে।

জালাল মৃধাঃ-  (আরও রেগে গিয়ে)কোন শালা  বলেছে ?

শান্তু মামাঃ-  যেই বলুক, কথাটাতো মিথ্যে না।তোমার গরুরতো জন্মগত রোগ।

 জালাল মৃধাঃ-  (বিরক্ত হয়ে)দেখ আজেবাজে কথা না বলে এখান থেকে যাও ।

শান্তু মামাঃ-   আচ্ছা আচ্ছা যাচ্ছি-যেতে যেতে বলতে লাগলেন;বন্ধা গাভির বাছুর কি আর গাভিন হয়রে পাগলা?

=বুঝলে হাসতে থাকুন।না বুঝলে পরবর্তি গল্প শুনে হাসার জন্য অপেক্ষা করুন।

                             
Previous
Next Post »